watermark logo

A seguir

Reprodução automática

যশোরে মৌমাছি পালন ও মধু চাষ | স্বল্প মূল্যে মধু সংগ্রহ করুন। KrishiBID

40 Visualizações • 12 Poderia 2020
Compartilhar
Embutir
Krishi BID
Krishi BID
Assinantes
0

যশোরে মৌমাছি পালন ও মধু চাষ। স্বল্প মূল্যে মধু সংগ্রহ করুন। KrishiBID

#যশোরে_মৌমাছি_পালন_ও_মধু_চাষ
#স্বল্প_মূল্যে_মধু_সংগ্রহ_করুন
#JASHORE_GHONA

মধু সংগ্রহ করতে কল করুন: ০১৯৮২৪৩৪৮২৯


কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে স্বল্প শ্রম ও স্বল্প পুঁজি সংবলিত কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাড়তি আয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, মৌ চাষের যন্ত্রপাতি সংশ্লিষ্ট কুটির শিল্পের সম্প্রসারণ, পুষ্টির উন্নয়ন, ফল ও ফসলের ফলন বৃদ্ধি এবং বাধ্যতামূলক বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্যতা ও উন্নয়নে মৌ চাষ অনন্য। আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মৌ চাষ কার্যক্রম গ্রহণে আগ্রহী লক্ষ জনগোষ্ঠীকে মৌ চাষে উদ্বুদ্ধকরণসহ অধিক মধু উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশে খাঁটি মধুর চাহিদা পূরণ, সফল পরাগায়নের মাধ্যমে ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি তথা দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব।


বাংলাদেশে মৌ চাষের ইতিহাস
মৌমাছি সাধারণত বনে জঙ্গলে, গাছের ডালে, গাছের কোটরে, মাটির গর্তে, দালানের সুবিধামতো জায়গায় মৌচাক তৈরি করে থাকে। সুন্দরবনে মৌয়ালরা বাঘের ভয়কে তুচ্ছ করে মধু সংগ্রহ করে থাকে এভাবে অবৈজ্ঞানিক পন্থায় মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক মৌমাছি ধ্বংস হয়ে যায়।


বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতির সাথে সাথে অনেক কিছু সহজসাধ্য হয়েছে। প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাকৃতিক মৌমাছিকে পোষ মানানো সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ দেশেই এখন কাঠের বাক্সে মৌমাছি পালন করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে মৌ কলোনি সংগ্রহ করে বা কৃত্রিম উপায়ে বিভাজনের মাধ্যমে রানী উৎপাদন করে প্রযুক্তিগত এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কাঠের তৈরি বাক্সে প্রতিপালন করা হয়।


মৌমাছির পরিচিতি
- মৌমাছি এক ধরনের সামাজিক ও উপকারী পতঙ্গ;
- সংঘবদ্ধভাবে রানী, শ্রমিক ও পুরুষ সমন্বয়ে একটি কলোনিতে বসবাস করে;
- স্বভাবসিদ্ধভাবে প্রকৃতিতে বসবাস করে;
- প্রধানত ফুল থেকে নেকটার ও পোলেন সংগ্রহ করে;
- সময় ও ক্ষেত্র বিশেষ কচিপাতা, উদ্ভিদের কাণ্ড, মিষ্টি ফল এবং চিনিজাতীয় খাদ্যদ্রব্য থেকে মিষ্টি রস সংগ্রহ করে;
- নেকটার অথবা মিষ্টি রস সংগ্রহ করে একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের তাৎক্ষণিক খাবার ও ভবিষ্যৎ সঞ্চয় হিসাবে মধু উৎপাদন করে;
- সংগৃহীত পোলেন থেকে মৌমাছি বিশেষ করে অল্প বয়সের মৌমাছির প্রোটিন জাতীয় খাবারের চাহিদা পূরণ করে।

প্রাচীনকাল থেকে মৌমাছি মানুষের নিকট অতি পরিচিত এক প্রকার ক্ষুদ্র, উপকারী ও পরিশ্রমী পতঙ্গ। সাধারণত দলবদ্ধভাবে বাস করে বলে এদের ‘সামাজিক পতঙ্গ’ বলা হয়। মৌমাছিরা ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। মৌমাছিকে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে এনে মৌচাকের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পালন করাকেই মৌমাছি পালন বলা হয়। পবিত্র কুরআনে সুরা আন নাহল ১৬:৬৮-৬৯-এ মৌমাছি সম্পর্কে উল্লেখ আছে। এরা আকারে মাঝারি ও শান্ত, তাই এদের বাক্সে লালন-পালন করা যায়। অন্ধকার স্থান যেমন- গাছের ফোকর, দেয়ালের ফাটল, আলমারি, ইটের স্তূপ ইত্যাদি স্থানে এরা চাক বাঁধে। চাকপ্রতি মধুর উৎপাদন প্রতিবারে গড়ে প্রায় ৪ কেজি। এ ছাড়াও পাহাড়ি ও ক্ষুদে মৌমাছি আছে, তবে এদের পালন করা যায় না। একটি মৌচাকে তিন শ্রেণীর মৌমাছি থাকে, যথা: (১) রাণী, (২) পুরুষ ও (৩) শ্রমিক মৌমাছি। রাণী মৌমাছি সবচেয়ে বড় প্রকৃতির। একটি চাকে একটি মাত্র রাণী মৌমাছি থাকে। এর একমাত্র কাজ ডিম পাড়া। পুরুষ মৌমাছি মধ্যম আকৃতির ও এদের চোখ বড়। কিন্তু এদের হুল নেই। এদের একমাত্র কাজ রাণীর সাথে মিলিত হওয়া। শ্রমিক মৌমাছি সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির। এদের চোখ ছোট, কিন্তু হুল আছে। রাণী ও পুরুষ বাদে অবশিষ্ট সকল সদস্যই শ্রমিক মৌমাছি। এরা নানা দলে ভাগ হয়ে চাকের যাবতীয় কাজ (যথা- চাক নির্মাণ করা, ফুলের মিষ্টি রস ও পরাগরেণু সংগ্রহ করা, মধু তৈরি করা, চাকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, চাকে বাতাস দেয়া চাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি) সম্পন্ন করে। বাংলাদেশে বর্তমানে দেশি ও বিদেশি মিলে ৪ প্রজাতির মৌমাছি আছে। এপিস ফ্লোরিয়া, এপিস ডরসাটা, এপিস সেরেনা ও এপিস মেলিফেরা। ইউরোপীয় জাতের এপিস মেলিফেরা মৌমাছি শান্ত ধরনের হয়। বাংলাদেশে এর চাষ করা হয়। সাধারণত ৫০০ গ্রাম মধু তৈরি করতে মৌমাছির ২ মিলিয়ন ফুলের দরকার পড়ে।

Mostre mais
0 Comentários sort Ordenar por

A seguir

Reprodução automática