Krishi BID
SubscribersLatest videos
নতুন জাত চায়না পেয়ারা ৫ চাষ পদ্ধতি
#নতুন_জাত_চায়না_পেয়ারা_৫_চাষ_পদ্ধতি
আমাদের নতুন এপিসোডে আপনাকে স্বাগতম। আজ আমরা পেয়ারার নতুন জাত চায়না ৫ বিষয়ে কথা বলবো। এই জাত তথা চায়না ৫ আপনি কিভাবে রোপন করবেন, কিভাবে এর রক্ষাবেক্ষণ করবেন তার সম্পূর্ণ
বিষয় আমরা আজ এখানে আলোচনা করেছি। তাই আমাদের আজকের সম্পূর্ণ ভিডিও ভিডিও দেখুন ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করুন।
আজ আমরা জানবো চায়না পেয়ারা,পেয়ারা চাষ পদ্ধতি,পেয়ারা চাষ,পেয়ারা গাছের যত্ন,পেয়ারা গাছে কলম করার পদ্ধতি,পেয়ারা গাছ লাগানোর নিয়ম,পেয়ারা গাছ রোপন পদ্ধতি,পেয়ারা গাছে সার প্রয়োগ,চায়না পেয়ারা চাষ পদ্ধতি,চায়না পেয়ারা ৫ চাষ ইত্যাদি।
আমাদের অন্যান্য ভিডিও দেখুন:
চাইনিজ মিষ্টি কমলা চাষ পদ্ধতি। ১০০% ভালো কলম চারা পাবেন যেভাবে। KrishiBID (১ম পর্ব): https://youtu.be/wg09HPZD3AI
জিনসেং চাষ । কোথায় পাবেন জিনসেং চারা । KrishiBID: https://youtu.be/GEBNAC0aBOY
আধুনিক পদ্ধতিতে শসা চাষ | Cucumber Cultivation in Modern Method:
https://youtu.be/2f8KlfiSVf8
ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।
বিচিবিহীন লিচুর জাত উদ্ভাবন | ২০ বছর পর সফলতা অর্জন | KrishiBID
#বিচিবিহীন_লিচুর_জাত_উদ্ভাবন
#২০_বছর_পর_সফলতা_অর্জন
#KrishiBID
************************************
অস্ট্রেলিয়ার একজন কৃষক প্রায় ২০ বছরের গবেষণায় বিচিবিহীন লিচুর জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। চীন থেকে একটি লিচুর গাছ নিয়ে এসে শুরু হয়েছিল তার গবেষণা। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ৫ হাজার ডলার। এই কৃষকের নাম টিবি ডিকসন।
কয়েক দশক ধরে তিনি একাধিক জাতের লিচুর জাত উদ্ভাবন করেন। তার সবশেষ উদ্ভাবন হলো- বিচিবিহীন লিচু। যাকে তিনি ‘খুব সুস্বাদু’ বলছেন। এর স্বাদ অনেকটা আনারসের মতো।
lychee
এই কৃষক এবিসিকে বলেছেন, বিচিবিহীন এই জাত উদ্ভাবনে সফল না হওয়া পর্যন্ত তিনি চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন।
lychee
দীর্ঘ প্রচেষ্টায় লিচুর এই নতুন প্রজাতির উদ্ভাবন করা হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা ওই ছোট গাছ থেকে ক্রস পরাগায়নের মাধ্যমে এটি করা হয়। যাতে লিচুর পুরুষ ফুলের পরাগ সংগ্রহ করা হয় এবং তা নারী ফুলের অংশের মধ্যে স্থানান্তর করা হয়।
**************************************
কৃষিবিদ চ্যানেলের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই স্বাগতম।
বিচিবিহীন লিচু উদ্ভাবন করলেন অস্ট্রেলিয়ার চাষি টিবি ডিক্সন। ৫ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে প্রায় ২০ বছর আগে চীন থেকে তিনি এই একটি লিচুগাছ সংগ্রহ করেন। তখন থেকেই তিনি চালাতে থাকেন নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ডিক্সনের মূল লক্ষ্য ছিল, বিচিবিহীন লিচু উদ্ভাবন করা। দুই দশকের কঠোর পরিশ্রম শেষে অবশেষে সাফল্য পেয়েছেন ডিক্সন। তিনি জানান এই লিচু অনেক সুস্বাদু এবং খেতে অনেকটা আনারসের মত। এছাড়াও তিনি ভিন্ন জাতের লিচু উদ্ভাবন করেছেন। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি লিচু চাষ করে আসছেন এমনটাই জানান সংবাদমাধ্যম এবিসিকে। পর-পরাগায়নের মাধ্যমে ওই বিচিবিহীন লিচু উদ্ভাবন করেছেন। অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করে আজ তিনি সফলতা অর্জন করেছেন।
ডিক্সন বলেন, এই লিচুর উৎপাদন এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই এটিকে বাণিজ্যিক রূপ দেওয়া সম্ভব হবে।
আমাদের অন্যান্য ভিডিও:
চায়না কমলা লেবু চাষ পদ্ধতি: https://youtu.be/8ygysdzEqUY
জিনসেং চাষ । কোথায় পাবেন জিনসেং চারা: https://youtu.be/GEBNAC0aBOY
সকলকে আমাদের আজকের ভিডিওটি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
বেইজিং জাতের হাঁসের খামার | মাসিক ইনকাম দেড় লক্ষ টাকা | KrishiBID
#বেইজিং_জাতের_হাঁসের_খামার
#মাসিক_ইনকাম_দেড়_লক্ষ_টাকা
#KrishiBID
**********************************
খামারি: সাকাওয়াত হোসেন লিটন,
স্থান: ঘোনা, চুড়ামনকাটি, যশোর সদর, যশোর।
মোবাইল: ০১৭৩৪-২৬১১৫৩
*********************************
বেইজিং মূলত চীনের রাজধানী যার নামানুসারে এই হাঁসের জাতের নাম বেইজিং রাখা হয়েছে। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এই জাতের হাঁস পালন করা সম্ভব। বেইজিং জাতের হাঁস পালনের জন্য আমাদের দেশের পরিবেশ একদম অনুকূল।
রোগ বালাই
হাঁস নানারকম রোগে আক্রান্ত হতে পারে তবে হাঁসের সবথেকে প্রচলিত দুটি রোগ হল ডাকপ্লেগ রোগ ও ডাক কলেরা রোগ। এই হাঁস মাত্র ৩ মাস বয়সেই বিক্রি করে দেয়া যায়। বেইজিং জাতের হাঁস পালনে ২৫ দিন পর প্রথমবার ডাকপ্লেগ রোগের টিকা দেয়া হয় এছাড়াও ৪০ দিন পর পুনরায় আর একবার ডাকপ্লেগ টিকা দেয়া হয় । এই জাতের হাঁসের মৃত্যুহার খুবই কম। আর তেমন ভিটামিন ও দেয়ার প্রয়োজন পড়েনা তবে যতটুকু না দিলেই নয় ততটুকু দেয়া যেতে পারে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই জাতের হাঁস পালন খুবই লাভজনক হবে।
খাদ্য
আমাদের দেশের যে প্রচলিত অন্যান্য হাঁস আছে ঠিক তাদের মত করেই এর লালন পালন করতে হয়। এই জাতের হাঁস তিনভাবে পালন করা যায়। ১) আবদ্ধ পদ্ধতি, ২) আবদ্ধ ও আংশিক খোলা পদ্ধতি এবং ৩) উন্মুক্ত পদ্ধতি। হাঁস লালন পালন করতে গেলে মনে রাখতে হবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই পালতে হবে। আমাদের দেশী হাঁস যেভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পালন করা হয়, এই হাঁসও সেই একই পদ্ধতিতে লালন পালন করলে লাভজনক হবে। কারণ হাঁস সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় পালন করলে ঐখান থেকে লাভ করা সম্ভব নয়।
এই হাঁসের বাচ্চা কেনার পরে প্রথম ১ মাস ব্রয়লার ফিড বা লেয়ার মুরগির ফিড খাওয়াতে হবে। ১ মাস পার হলেই ২৫ দিন বয়সে একটি ভ্যাকসিন দিতে হবে। তারপর উন্মুক্ত পদ্ধতিতে মাঠে, বিলে, নদীতে বিশেষ করে যেখানে প্রাকৃতিক খাদ্য আছে যেমন শামুক, ঝিনুক, আগাছা, লতাপাতা, কচুরিপানা, শেওলা, মাঠে পড়ে থাকা ধান এসব জায়গায় পালন করতে হবে। এই হাঁস ৩ মাস বয়েসেই একেকটই ৪কেজি ওজনের হয়ে থাকে যা বিক্রি করে পিস প্রতি ১০০-১৫০ টাকা লাভ থাকে।
বাসস্থান
পানি ছাড়া এই জাতের হাঁস পালন করা যায়না। বেইজিং জাতের হাঁসকে সময়মতো খাবার এবং পানি দিতে হয়। এসব হাঁসের পা লালচে রং ও হাঁস গুলো সাদা রং এর হয়ে থাকে। এছাড়াও এদের ঠোটের রং হলুদ বর্ণের। এই হাঁস পালন করতে হলে খামারীদের খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙ্গিনায় এই হাঁস পালন করা যায় পারিবারিকভাবে। এই হাঁস পালনে খুব বেশি জায়গার দরকার পড়েনা ১০০ হাঁস পালনের জন্য শুধুমাত্র ৩০০ স্কয়ার ফুট জায়গা লাগে। এই জাতের হাঁস চীন ছাড়াও আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পারিবারিক এবং বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হয়। খামারে দেশী হাঁসের মতই এই হাঁসগুলো একেবারেই নিজেদের মনের মত করে বিচরণ করে। এই হাঁসের রোগ বালাই অন্যান্য জাতের হাঁসের মতই এবং চিকিৎসা পদ্ধতিও একই।
এর ফলে এই হাঁস ধীরে ধীরে মারা যেতে থাকবে। এর মৃত্যুর হার খুব বেশি হয় না। উন্নত ঔষধ ও উন্নত পরিচর্যায় রাখলে এই হাঁস সহজেই সুস্থ্য হয়ে যায়। বেইজিং জাতের হাঁসের বাচ্চা কৃত্রিম উপায়ে ফুটানো হয়। এই জাতের হাঁসগুলো দেশীয় জাতের হাঁসের চেয়ে ১-১.৫ মাস আগে ডিম দিতে শুরু করে এবং সারা বছর জুড়েই ডিম দিতে পারে। যদি এই হাঁস পারিবারিকভাবে অথবা বানিজ্যিকভাবে চাষ করা যায় তাহলে দেশের আমিষের চাহিদা পুড়ণ করা সম্ভবপর হবে।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করেছি:
-বেইজিং হাঁস পালন পদ্ধতি।
-বেইজিং হাঁস পালন।
-বেইজিং জাতের হাঁস পালন।
-বেইজিং হাঁসের খামার।
-বেইজিং হাঁস।
-বেইজিং জাতের হাঁসের খামার এবং
-বেইজিং হাঁসের বাচ্চার দাম।
-বেইজিং হাঁসের বাচ্চা।
-বেইজিং হাঁসের খাবার।
-বেইজিং।
-বেইজিং হাঁস।
-বেইজিং জাত।
-শামুক চাষ পদ্ধতি।
-শামুক চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশ।
-পুকুরে শামুক চাষ পদ্ধতি।
-বেইজিং হাঁসের বাচ্চা কোথায় পাওয়া যায়।
হাস গুলা কোথায় পাওয়া যায় এবং একটি হাসের দাম কত?ডেলি কত টাকার খাবার খায় এই হাস গুলো? একটি হাস ছোট থেকে ডিমের উপযুক্ত হতে কত মাস সময় লাগে?
১০০হাস পালতে প্রতি মাসে খরচ কত টাকা লাগে?১০০হাস কত টি ডিম দিবে প্রতি মাসে?
আমাদের নতুন এপিসোডে আপনাকে জানাই স্বাগতম। আমরা আজ হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। জানবো হাস পালনের পদ্ধতি ও হাঁস এর খামার কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে। হাঁস পালন প্রশিক্ষণ নিয়েও আমরা কথা বলেছি। হাঁস পালন করে কোটিপতি হাওয়া যায় এটা কারোরি অজানানা নয়। হাঁস পালন করার নিয়ম ও হাঁস পালন রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা জানবো। হাঁস পালন ও চিকিৎসা এবং হাঁস পালনে আয় ব্যয় বিষয়ে না জানলে এবং কিভাবে হাঁস পালন করা যায় এই সম্পর্কে না জানলে লাভবান হওয়া যায় না। অপর দিকে খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন ও খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কত দিনে ডিম দেয় এছাড়াও জিনডিং হাঁস পরিচিতি ও জিনডিং হাঁস পালন সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আমাদের ভিডিও আপনাদের ভালো লাগবে। সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। জিনডিং হাঁস ও খাকি জিনডিং পালনে লাভবান হওয়া সম্ভব। ডিমপাড়া হাঁস পালন পদ্ধতি ও ডিমপাড়া হাঁস বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে আমাদের এই
হাঁস পালন পদ্ধতি | মাসে হাজার হাজার টাকা | KrishiBID ভিডিও থেকে জানা যাবে। হাঁসের খামার কিভাবে করা যায় ও হাঁসের খামারে লাভ কেমন হয় সেই সম্পর্কে থাকছে আমাদের আজকের ভিডিও। সাথে আছি আমি আশানুর রহমান। খামারি সাইনুর রহমান। ঠিকানা: কাশিমপুর, যশোর।
হাঁসের খামার নিয়ে কৃষিবিদ(Krishibid) এর আজকের ভিডিও সবাইকে দেখার জন্য আহবান জানাচ্ছি।Duck Firming, Jashore,বেইজিং হাঁস পালন ।
আমাদের অন্য ভিডিও:
https://youtu.be/SJOKE0ckQaU (ক্যান্সার প্রতিরোধক ননী ফল | ননী ফল কোথায় পাওয়া যায় | KrishiBID)
https://youtu.be/GEBNAC0aBOY (জিনসেং চাষ । কোথায় পাবেন জিনসেং চারা । KrishiBID)
লিচু গাছে সার প্রয়োগের নিয়ম | KrishiBID
#লিচু_গাছে_সার_প্রয়োগের_নিয়ম
#KrishiBID
আমরা আজ আলোচনা করেছি:-
-লিচু চাষ পদ্ধতি,
-লিচু গাছের পরিচর্যা,
-লিচু চাষ,
-লিচু গাছের ফল ঝরা রোধে কীটনাশক,
-লিচু গাছে সার প্রয়োগের নিয়ম কানুন,
-পোকার আক্রমণ থেকে লিচু রক্ষায় ব্যবহৃত ওষুধ,
-লিচুর ফল পচা রোগ এর সমাধান,
-লিচুর বীজ ছিদ্রকারী পোকা দমন,
-লিচু গাছের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের নাম,
-লিচু গাছের যত্ন,
-লিচুর ফলন বেশী,
-বাম্পার ফলন,
-লিচু গাছে সার প্রয়োগ,
-biggest lichu,
-যশোরের লিচু,
-বেশি দামী লিচু,
-লিচু গাছের,
-লিচু গাছের পাতা পোড়া রোগ,
-লিচু গাছের কলম,
-লিচুর কলম পদ্ধতি,
-দামী লিচু,
-লিচুর আগাম প্রস্তুতি।
সার ব্যবস্থাপনা: প্রতি গর্তে টিএসপি সার ৭০০ গ্রাম, এমওপি সার ৪৫০ গ্রাম, জিপসাম সার ৩০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ৬০ গ্রাম ও জৈবসার ২৫ কেজি দিতে হয। গর্ত ভর্তির ১০-১৫ দিন পর মাটির বলসহ গর্তের মাঝখানে সোজাবাবে লাগাতে হবে। রোপণের ৩ মাস পর ৩০০-৩৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা দরকার।
পূর্ণ বয়স্ক ফলন- গাছের জন্য ইউরিয়া সার ২ কেজি, টিএসপি সার ৩.৫ কেজি, এমওপি সার ২ কেজি, জিপসাম সার ২৬০ গ্রাম, জিংক সালফেট সার ৬০ গ্রাম, গোবর ১৫ কেজি এবং ৯ কেজি ছাই প্রয়োগ করতে হয়।
**************************************
গ্রীষ্মের অন্যতম সুস্বাদু ফল লিচু। খুব অল্প সময় থাকে বলে চাহিদা অনেক বেশি।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ‘খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান’য়ের বিভাগীয় প্রধান ফারাহ মাসুদা জানান লিচুর পুষ্টি ও গুণের কথা।
মৌসুমি ফল লিচু ভিটামিন ও খাদ্যশক্তির অন্যতম উৎস। এতে রয়েছে মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। শ্বেতসার এবং ভিটামিন সি’র ভালো উৎস। ছোট বড় সব বয়সের মানুষই এই সুস্বাদু ফল খেতে পারে।
তিনি জানান, লিচুতে রয়েছে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও ফ্যাট যা মানব দেহের জন্য প্রয়োজন। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে রয়েছে ১.১ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.২ গ্রাম ফ্যাট।
লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্বেতসার পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ১৩.৬ গ্রাম শ্বেতসার থাকে।
এছাড়া লিচুতে ০.০২ গ্রাম ভিটামিন বি ১ এবং ০.০৬ গ্রাম বি ২ রয়েছে। এছাড়াও এতে কিছু পরিমাণে খনিজ লবণ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ০.৫ গ্রাম খনিজ লবণ পাওয়া যায় বলে জানান মাসুদা।
লিচুতে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’ যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য ভালো। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৩১ মি.গ্রা ভিটামিন সি পাওয়া যায়। নানারকম চর্মরোগ ও স্কার্ভি দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। তাছাড়া এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে ও বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ১০ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম দেহের হাড় গঠন করে ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। লিচুতে অল্প পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৭ মি.গ্রা লৌহ।
এছাড়াও লিচুতে রয়েছে থিয়ামিন, নিয়াসিন ইত্যাদি, যা লিচুর পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি করে। এসব ভিটামিন শরীরের বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়।
শক্তির ভালো উৎস লিচু। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচু থেকে ৬১ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
লিচুতে খাদ্য হজমকারী আঁশ, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে জমে থাকে ও দেহ সুস্থ রাখে বলে জানান ফারাহ মাসুদা।
লিচুর অলিগোনল নামের উপাদান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে কাজ করে। এ উপাদান রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, ত্বকে ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমায়।
অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা: পূর্ণ বয়স্ক গাছে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশের জন্য অপ্রয়োজনীয় ডালপালা কেটে ফেলতে হবে। কলমের গাছের বয়স ৪ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মুকুল ভেঙ্গে দেয়া দরকার।
চারা রোপণ: জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাস কলমের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। ৮-১০ মিটার দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণের সময় গর্তে কিছুটা পুরাতন লিচু বাগানের মাটি মিশিয়ে দিলে চারার অভিযোজন দ্রুত হবে।
ব্যবস্থাপনা: এ পোকা দমনের জন্য ফল ধরার পর লিবাসিড ৫০ তরল বা ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ তরল অথবা টোসিটকস আর ২৫ তরল এর যেকোন একটি প্রতি লিটার পানিতে ১ মি.লি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার সেপ্র করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে ফল সংগ্রহের অন্তত: ১৫ দিন পূর্বে শেষ সেপ্র করতে হবে।
ক্ষতির নমুনা: আক্রান্ত পাতা কুঁকড়িয়ে যায় এবং পাতার নীচের দিক লাল মখমলের মত হয়। পরবর্তীতে পাতা দুর্বল হয়ে মরে যায় এবং ডালে ফুল, ফল বা নতুন পাতা হয় না। আক্রান্ত ফুলে ফল হয় না।
ব্যবস্থাপনা: আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলা। ইথিয়ন ৪৬.৫ তরল বা নিউরণ ৫০০ তরল ২ মি.লি হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত গাছে ভালভাবে সেপ্র করা।
ফসল তোলা: ফলের খোসার কাঁটা চ্যাপ্টা হয়ে যখন মসৃণ হয় এবং ফলের গায়ে লালচে বর্ণ ধারণ করে তখন কিছু পাতাসহ ডাল ভেঙ্গে রিচু থোকায় থোকায় সংগ্রহ করতে হবে।
লিচু গাছে ভালো ফলন পেতে করণীয় কাজের ধাপ গুলো এই ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
লিচু গাছের ফল ঝরা রোধে কীটনাশক , লিচু গাছে সার প্রয়োগের নিয়ম কানুন, পোকার আক্রমণ থেকে লিচু রক্ষায় ব্যবহৃত ওষুধ, লিচু চাষ পদ্ধতি , লিচুর ফল পচা রোগ এর সমাধান, লিচুর বীজ ছিদ্রকারী পোকা দমন,
লিচু গাছের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের নাম
১, ছোট ফল ঝরা বন্ধ করতে প্রতি ৪.৫ লিটার পানিতে 1 গ্রাম করে প্লানোফিক্স স্প্রে করতে হবে।
২, লিচুর মাইট দমন করতে সালফার ব্যবহার করতে হয় তাছাড়া ডাইমেথোয়েট প্রতি লিটারে ০.৫ গ্ৰাম স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৩, লিচুর বিচি জোকারি পোকা দমনে প্রতি লিটার পানিতে 1 গ্রাম ডাইমেক্রম বা ম্যালাথিয়ন প্রয়োগ করতে হবে।
৪, লিচু ফল পচা রোগ হলে ডাইথেন ফর্টি ফাইভ অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি শুভেচ্ছা।
জিনসেং চাষ। টবে জিনসেং চাষ পদ্ধতি। জিনসেং চারা সংগ্রহ করুন সহজে।
https://youtu.be/PDvGrJHbocY
সাবস্ক্রাইভ করে আমাদের সাথেই থাকুন।